সর্বশেষ

Thursday, June 2, 2022

FB cover photo design with plp | Facebook Cover Design Plp File

FB cover photo design with plp | Facebook Cover Design Plp File




File Details:


App Name : PixelLab

File Formate : .PLP

Size : 981- 364

File Quality : HD/FHD/UHD

Editing Type : Full Customizable

Printing type: None

Category: Facebook cover art

Zip Pass : 708060

User Rights : Only for personal use

Device Name : Android 


Use Only For Personal And Business Purposes. Do Not Share On Any Other Site Or Pages Or Youtube Channel For Money Or Free.

শুধুমাত্র ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করুন। অন্য কোন সাইট বা পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে টাকা বা ফ্রি শেয়ার করবেন না।


আপনার যদি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় Facebook page এ আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

Facebook cover plp file free download (click here)

Preview




Wednesday, May 4, 2022

পেটের ডান পাশে ব্যথার ১০ কারণ।

পেটের ডান পাশে ব্যথার ১০ কারণ।



পেটের যেকোনো স্থানে ব্যথা যে কাউকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে অথবা আতঙ্কগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত লিওনার্ডটাউনের ফ্যামিলি ডক্টর মায়া ফিনকেলস্টোন আশ্বস্ত করছেন, ‘পেটের বেশিরভাগ ব্যথার কারণই বিনাইন বা নিরীহ প্রকৃতির, যেমন- পেশি সংকোচন, গ্যাস জমা ও বদহজম।’ তাই পেটে ব্যথা অনুভব করলে গভীর শ্বাস নিন ও শিথিল হতে চেষ্টা করুন। সম্ভাব্য কারণ শনাক্ত করে ঘরোয়া চিকিৎসা চালানোর পরও পেটের ব্যথা না কমলে অথবা আরো বেড়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বিবেচনা করুন। এখানে পেটের ডানপাশে ব্যথা অনুভবের ১০ কারণ আলোচনা করা হলো।


পেটে গ্যাস জমেছে: আপনার পাকস্থলির অবস্থান হচ্ছে নাভির উপরে, তাই প্রায়ক্ষেত্রে গ্যাস জনিত ব্যথা পাকস্থলির অবস্থান বরাবর অথবা বামে অনুভূত হয়। কিন্তু কখনো কখনো এ ব্যথা পেটের ডানদিকে ছড়িয়ে পড়ে, বলেন ডা. ফিনকেলস্টোন। আপনি কি ডায়েটে পরিবর্তন এনেছেন? প্রচুর পরিমাণে এমন খাবার খেয়েছেন (যেমন- ব্রোকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস ও ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি, শিম বিচি বা বিনস) যা আপনাকে গ্যাসীয় করতে পারে? সময় পরিক্রমায় এ গ্যাস দূর হয়ে যায়। এসময় হাঁটলে উপকার পেতে পারেন।


বদহজম হয়েছে: বদহজম হলে কি খেয়েছেন তা চেক করুন। বদহজমে আপনার পেটের উপরিভাগে ডানদিকে জ্বালাপোড়ার মতো ব্যথা হতে পারে। বদহজম নিজে মারাত্মক নয়- আপনি বেশি পরিমাণে ফাস্ট ফুড, অ্যালকোহল বা কফি ও টমেটোর মতো অ্যাসিডিক খাবার খেলে বদহজম হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজ (এনআইডিডিকে) অনুসারে। বদহজমের ব্যথা নিজে নিজে চলে যায় এবং এ ব্যথা দু’সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।


পেশিতে টান পড়েছে: একটি কঠোর কার্ডিও সেশন আপনার পেটের ডানদিকে ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে: সচরাচরের চেয়ে দ্রুত দৌঁড়লে আপনার ডায়াফ্রাম সচরাচরের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, যেখান থেকে মাসল স্পাজম তথা পেশি সংকোচন হতে পারে, বলেন ডা. ফিনকেলস্টোন। তিনি আরো জানান, ‘আপনার বাহুগুলোকে ব্যথার স্থান থেকে দূরে মাথার উপরে স্ট্রেচ করলে স্বস্তি অনুভব করতে পারেন। পরবর্তীতে পেটে পেশি টান জনিত ব্যথা এড়াতে আপনার শ্বাসতন্ত্রকে প্রসারিত করতে হবে- এটা করতে জাম্পিং জ্যাক বা হালকা জগিংয়ের মতো ডায়ানামিক মুভমেন্টের ওয়ার্ম আপ করুন।’


অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে: আপনার পেটের ডানদিকে ব্যথা অনুভব হলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির পাশে শুরু হয় এবং পরে তা ডানপেটের নিচে এক-চতুর্থাংশে ছড়িয়ে পড়ে, বলেন ডা. ফিনকেলস্টোন। তিনি আরো জানান, ‘আপনি বসতে বা সমতলভাবে শুতে গেলে খুব অস্বস্তিবোধ করবেন। কিন্তু অ্যাপেন্ডিসাইটিসের জন্য নিজেকে দোষারোপ করবেন না, কারণ এটি এড়ানোর জন্য কোনো করণীয় নেই।’ আপনার অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে সন্দেহ করলে চিকিৎসকের কাছে যান, নয়তো এটি ফেটে গিয়ে প্রাণ বিপন্ন হতে পারে।


ওভারিয়ান সিস্ট হয়েছে: নারীদের জরায়ুর প্রত্যেক পাশে একটি করে ডিম্বাশয় থাকে। কখনো কখনো এসব ডিম্বাশয়ে তরলপূর্ণ থলে বিকশিত হয়, যাকে ওভারিয়ান সিস্ট বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট নিজে নিজে চলে যায় এবং প্রায়ক্ষেত্রে নারীরা এ সিস্টের উপসর্গ অনুভব করে না, মায়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে। কিন্তু এ সিস্ট ব্যথায় ভোগানোর মতো যথেষ্ট বড়ও হতে পারে। তাই আপনার ডান ডিম্বাশয়ের সিস্ট বড় হলে পেটের ডানদিকে ব্যথা অনুভূত হবে। হঠাৎ করে তীব্র ব্যথায় ভুগলে অথবা পেট ব্যথার সঙ্গে জ্বর বা বমি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে ভুলবেন না।


জরায়ুর বাইরে ভ্রুণের বিকাশ হচ্ছে: বিরলক্ষেত্রে একটি নিষিক্ত ডিম্ব জরায়ুর বাইরে বেড়ে ওঠতে পারে, প্রায়ক্ষেত্রে ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বনালিতে। এ ধরনের গর্ভাবস্থাকে ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। এ সমস্যাটি কেবলমাত্র নারীদের প্রজনন বয়সে দেখা দেয়। আপনার কনসিভের চেষ্টাকালে পেটের ডান বা বাম পাশে ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসককে জানাতে ভুলবেন না। ডা. ফিনকেলস্টোন বলেন, ‘ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সির অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে পেটের বাম অথবা ডান পাশে ব্যথা হতে পারে। এ সম্ভাবনা নিশ্চিত বা বাতিল করতে প্রেগন্যান্সি টেস্টের প্রয়োজন হবে।’ ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সির অন্যান্য উপসর্গ হচ্ছে ভ্যাজাইনাতে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ অথবা পেলভিকে ব্যথা।


কিডনিতে পাথর হয়েছে: কিডনি পাথরের একটি উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হচ্ছে পিঠের নিম্নভাগে ব্যথা, পেটের নিম্নভাগে ব্যথা অথবা কুঁচকিতে ব্যথা, এনআইডিডিকে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী। এ ব্যথা পেটের একপাশে ছড়াতে পারে, বলেন ডা. ফিনকেলস্টোন। তিনি আরো জানান, ‘এ ব্যথার অবস্থানে পরিবর্তনও আসতে পারে, যার মানে হচ্ছে মূত্রতন্ত্রে কিডনি পাথর একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যাচ্ছে।’’ কিডনি পাথরের অন্যান্য উপসর্গ হচ্ছে মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা, মূত্রে রক্তের উপস্থিতি, বমিভাব ও বমি, আমেরিকান কিডনি ফান্ডের তথ্যানুসারে।


কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও আপনার ডানপেটে ব্যথা হতে পারে। ডা. ফিনকেলস্টোন বলেন, ‘রেক্টাম বা বৃহদান্ত্রের শেষভাগে বেশিরভাগ মল জমা হয় ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরের বাইরে বের হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে তা এত বেশি শক্ত হয় যে শরীরের বাইরে বের হতে পারে না- এ অবস্থাকে ফেকাল ইম্প্যাকশন বলে।’ ফেকাল ইম্প্যাকশনের উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হচ্ছে পেটের পেশি টাইট হয়ে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা, পেট ফেঁপে যাওয়া, নিচের পিঠে ব্যথা অনুভব করা ও মূত্রাশয়ে চাপ পড়া।


পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে : আপনার পেটের ডানপাশে উপরিভাগে ব্যথা অনুভব করলে এর উৎপত্তি পিত্তপাথর থেকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- বিশেষ করে খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর এ ব্যথা আরো বেড়ে গেলে। ডা. ফিনকেলস্টোন বলেন, ‘আমরা নারীদের পিত্তথলিতে এ পাথর বেশি খুঁজে পাই, বিশেষ করে ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে।’ পিত্তথলি হচ্ছে একটি অর্গান যা পিত্তরস নিঃসরণের মাধ্যমে খাবার হজমে সহায়তা করে। আপনার শরীরে উচ্চ মাত্রায় রক্ত চর্বি ও ইস্ট্রোজেন থাকলে অথবা আপনি অতিরিক্ত স্থূল হলে পিত্তথলিতে পাথর বিকাশের ঝুঁকি বেশি। পিত্তপাথর যে কারণেই হোক না কেন, এ পাথর পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে (গলব্লাডার অ্যাটাক) হঠাৎ পেটের ডানপাশে ব্যথা হতে পারে। গলব্লাডার অ্যাটাকের একটি উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হচ্ছে: পেটের ব্যথা উভয় শোল্ডার ব্লেডের মাঝখানে অথবা ডান কাঁধে ছড়াতে পারে। আপনার এরকম উপসর্গ থাকলে পিত্তথলি অপসারণ করতে সার্জারির প্রয়োজন হবে। এছাড়া পিত্তথলি অপসারণ না করেও মেডিক্যালি পিত্তপাথরের চিকিৎসা করা যায়।


উচ্চ ডোজে ইবুপ্রোফেন সেবন করেছেন: ইবুপ্রোফেনের মতো এনএসএআইডি আপনার পাকস্থলির ভেতরের স্তরকে উক্ত্যক্ত করতে পারে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, ইবুপ্রোফেনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে সাধারণ পেট ব্যথা, বদহজম, বুকজ্বালা ও পেটফাঁপা। আপনার পেটের ডানপাশে ব্যথা অনুভূত হলে কোনো এনএসএআইডি ওষুধ সেবন করেছেন কিনা চেক করুন। অধিক পরিমাণে ইবুপ্রোফেন সেবন করলে তীব্র পেট ব্যথা, বমিভাব, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে, এমনকি আলসারও হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অথবা ওষুধ সেবনের নির্দেশনা অনুসরণ করে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে পারেন।

Thursday, March 10, 2022

Biography of Rakibul Hasan Rahat

Biography of Rakibul Hasan Rahat



Rakibul Hasan (Rahat)


Rakibul Hasan Rahat was born on Apr 12, 1999, in  Chattogram(his native village). At present, he is living in Biswanath with his family of four members

Rakibul Hasan Rahat started his music career in 2017. He is learning a song from his brother. He is first competition attend upazila big program and won the second place in Chittagong district. Thus began the life of his song. A few bands later offered him. He joined Rupkothar Sanskritik Sangsad and improved his music career.


He has released a lot of music. He has released his first vocal music named '' Bol Na Valobasi'" . He has already released a lot of music and soundtrack such as “Nesha”, “Dremless ”, “Bolna Valobasi” on various international music platforms. This music is available on different music platforms like Spotify, Apple Music, iTunes, Amazon Music, SoundCloud, YouTube Music, Deezer, and other international music platforms.

He always loves to make people Teach. On his Facebook page and Youtube channel, he uploads his tech activities to teach people. Though he started working as a content creator and but now he is also working hard to be a musical artist. He said that it’s time to work as a musician side by side as a Youtube content creator.

Rakibul Hasan Rahat has been verified on YouTube on 20 Dec, 2021 as a Bangladeshi Musician. He is also a verified artist on the largest music platforms like Spotify, Amazon Music, Deezer, Jio Saavn, iTunes, Pandora, Tidal, Shazam, etc. He has an official Facebook Fanpage named Rakibul Hasan.

He is working hard in this field due to her mother’s inspiration and deep love for music. He is a real example of the life that music can be associated with. May he find all the happiness of his life in the middle of the song. He always tries to present new songs to his followers.

His suggestion for new content creators and musical artists is to work hard. If you have the desire to achieve something then you will definitely succeed. 

Tuesday, March 8, 2022

নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটা – রেদোয়ান মাসুদ

নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটা – রেদোয়ান মাসুদ

Picture - Google


একটা ছেলে যখন একটা মেয়েকে নক দেয়, প্রথম দুই একদিন মেয়েটি কিছু না বললেও কয়েকদিন যেতেই মেয়েটি ছেলেটির সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেবে, অপমান করবে, রাগ দেখাবে অথবা ছেলেটির কোনো কথার আর কোনো উত্তর দেবে না। একটা ভদ্র ছেলে কোনোভাবেই এই অপমান সহ্য করতে পারবে না। সে রাগে ঐ মেয়েকে আর জীবনেও নক দেবে না। কিন্তু একটা বাউলা ছেলে বলবে, ‘মেয়েরা প্রথম প্রথম এমনই করে, কয়েকদিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে’। সে নিয়মিত নক করেই যাবে। প্রতিদিন নানান রকমের অভিনয় করে কথা বলবে। নানানভাবে ভালোবাসার কথা বলবে। আর সেই অভিনয়গুলো মেয়েটির কাছে দারুণ লাগবে। মনে মনে বলবে, ‘এমন একটি ছেলেই তো চেয়েছিলাম জীবনে। টাকা-পয়সা, যোগ্যতা দিয়ে কি হবে যদি আমাকেই ভালো না বাসে। এরকম ভালোবাসাইতো আমি চেয়েছিলাম। বন্ধু বান্ধবদের কাছে গর্ব করে বলবে, ‘জানিস সে অনেক কেয়ারিং, আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না। সারাক্ষণ ফোন দেয়। ঐদিন একটা নীল পাঞ্জাবী পড়ে এসেছিল। কত যে ভালো লেগেছিল। আমিও একটি লাল শাড়ি পড়েছিলাম সেদিন। আমার কাছে মনে হয়েছিল আমরা দুজন যেন স্বামী স্ত্রী। জানিস আমার জন্য কি সুন্দর একটি গিফট এনেছিল। আমিতো দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ঠিক যেন আমার পছন্দের জিনিসটা আমাকে এনে দিয়েছে। হ্যাঁ ওই আমার জীবনের সব, ওই আমার হৃদয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কলরব। অন্য কেউ কি আমার মন কি চায় তা বুঝতে পারে’।



আরও জানিস ঐদিন আমি শয়তানি করে বলেছিলাম, ‘করিমের বিরিয়ানি’ আমার খুব প্রিয়। কি অবাক কান্ড, বিকেল বেলা হঠাৎ দেখি ও ফোন দিয়েছে। বলল, ‘একটু নিচে আসো’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন’? সে বলল, ‘আসোনা একটু, আসলেই বুঝতে পারবে’। মোবাইলটা টেবিলে রেখে আব্বু-আম্মুর রুমে গেলাম দেখি আব্বু বাসায় আছে কিনা। দেখলাম আম্মু একা আর আব্বু বাইরে গিয়েছে। আম্মুকে বললাম, ‘আম্মু খুব খুধা লাগছে একটু নিচে যাই কিছু খেয়ে আসি’। আম্মু বলল, ‘ঠিক আছে যা, তাড়াতাড়ি আসিস। তোর আব্বু বাসায় এসে তোকে না দেখলে খুব রাগ করবে’। আমি আম্মুকে বলল, ‘ঠিক আছে আম্মু আমি এখনই চলে আসবো’।


ওয়াশরুমে গিয়ে কোনোরকম ড্রেস পাল্টিয়ে অনিকাকে নিয়ে নিচে গেলাম। দূরে থেকেই দেখি নীল পাঞ্জাবী পড়া রহিমের হাতে একটি ব্যাগ। আরও একটু সামনে গিয়ে আমিতো রীতিমতো অবাক। দেখি প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘করিমের বিরিয়ানি’। আনন্দে মনটি যেন একবারে ভরে উঠল, হৃদয়ের মাঝে জমে থাকা সকল ভালোবাসা সন্ধ্যা প্রদীপের মতো জ্বলে উঠল। হ্যাঁ এমন একটা বরই তো চেয়েছিলাম আমি। এ যেন আমার স্বপ্নের পুরুষ, নীল পাঞ্জাবীওয়ালা। এর মধ্যেই হঠাৎ আমার মনে হচ্ছিল, আমি পাতায়া সুমুদ্র সৈকতে আছি রহিমের সাথে। রহিম সাগরের জল ছিটিয়ে দিচ্ছে আমার গায়ে আর আমিতো আনন্দে আত্মহারা। যেন স্বর্গে আছি। মনের ঘোর না কাটতেই হঠাৎ রহিম বলল, ‘এ কি তুমি ঐদিকে তাকিয়ে কি ভাবছ’? আমি রহিমের দিকে তাকিয়ে চোখটি একটু বাঁকা করে বললাম, ‘দাও দাও প্যাকেট দাও’। বাহ! ব্যাগের মধ্যে দু’টি বিরিয়ানি। জিজ্ঞেস করলাম, ‘দুটি কেন’? রহিম অনিকার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘কেন? অনিকার জন্য একটা’। অনিকা যেন খুশিতে নাই। অনিকা নিচের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলছে, ‘আল্লাহ আমার জন্যও যেন এমন একটা বর রাখে’। হঠাৎ লক্ষ করলাম অনিকা নিচের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে। সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিরে অনিকা কি ভাবছিস মনে মনে? বিরিয়ানির প্যাকেটা নে’। আমি এবার রহিমের দিকে তাকিয়ে আবার বললাম দুইটা কেন’? রহিম একটু বিরক্তিসুরে বলল’ ‘বললাম তো আনিকার জন্য একটা’। আমি একটু করুনসুরে বললাম, ‘তোমারটা’?

কথাটি শুনে রহিমের মুখটি কেমন যেন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। কিন্তু কিছু বুঝতে না দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই হেসে দিয়ে বলল, ‘আমি একটু আগেই বাসা থেকে খেয়ে এসেছি’। ও বুঝতে দিতে না চাইলেও ওর চেহারা দেখেই আমি বুঝতে পারলাম ওর পকেটে হয়তো টাকা কম ছিল। টাকা নেই পকেটে তারপরেও একটি নয় দুটি বিরিয়ানি এনেছে। খুব মায়া হলো রহিমের জন্য। ভালোবাসায় হৃদয়টি ভরে গেল। মন চেয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেটটি খুলে নিজের হাত দিয়ে ওকে একটু খাইয়ে দেই। কিন্তু বাসার নিচে দাঁড়িয়ে খাওয়াতে গেলে কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে। আম্মুতো ওর কথা জানে না তাই ওকে বাসায়ও আসতে বলতে পারলাম না। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। কপালে কুয়াশার মতো কয়েকফোটা ঘাম জমে গেল। বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সেই ঘাম মুছতে মুছতে তাকিয়ে রইলাম রহিমের মুখের দিকে। রহিমও তাকিয়ে রইল আমার দিকে। দুজনের মায়াভরা চারটি চোখের মিলন কোনোভাবেই যেন বিচ্ছেদের সুর শুনতে চাচ্ছে না। কিন্তু চারদিকের পরিবেশ হাত নেড়ে বলছে, যে যার মতো বাসায় চলে যাও।  জীবনে মনে হয় কোনোদিন এত অসহায় লাগে নি। যেকোনো মুহুর্তে বাবা চলে আসতে পারে তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রহিমকে বিদায় দিয়ে বাসায় ঢুকতে হলো।


ফেরার সময় বারবার পিছনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আমার বাবুটিও যেন যেতে চাচ্ছে না। তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আসলে রহিমকে বাবু বলে ডাকার অন্য একটি কারণ আছে তা পরে বলবো। বাসায় ঢুকে বারান্দায় গিয়ে আবার বাইরের দিকে তাকালাম দেখলাম রহিম এমনভাবে হাটছে যেন ১০৫ ডিগ্রী জ্বরে আক্রান্ত কোনো যুবক হেঁটে যাচ্ছে। রহিমের চেহারা এখন আর তেমন বুঝা যাচ্ছে না। হেঁটে হেঁটে যেন ভোরবেলার কুয়াশার মতো রাস্তার সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝেই আমাদের বাসার দিকে তাকায়। এসময় আমি আমার ডান হাতে একটু চুমু দিয়ে হাতটি রহিমের দিকে ছুড়ে দিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম হাতের উপর কয়েকফোটা জল। এরমধ্যেই আম্মু রুমে এসে বলল, ‘তোর চোখে জল কেন’? আমিতো থতমত খেয়ে গেলাম। সাথে সাথে ওড়না দিয়ে চোখের জল মুছে একটি হাচি দিয়ে বললাম, ‘হাচি আসছিল আম্মু’। কিন্তু আমার বুবুটার জন্য বুকের মধ্যে কেমন যেন চিনচিন করছিল। পদ্মা মেঘনার ঢেউ যেন আছরে পরে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল আমার হৃদয়ের সকল অবয়ব।


প্রায় পাঁচ ছয় মাস পরে প্রিয়তি তার সেই বান্ধবী সাগরীকাকে বলল, ‘দোস্ত একটা কথা’। সাগরীকা বলল, ‘কি কথা বল’। প্রিয়তির মুখে মেঘের ভার, কপালে বিন্দু বিন্দু জল। সাগরীকা প্রিয়তির মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আর মনে মনে বলল, ‘যেই প্রিয়তির সাথে দেখা হলে রহিমের কথা বলতে বলতে হাসিতে মেতে উঠত, আর আজ কি অসহায় তার চোখ, কি অসহায় তার মুখ’। সাগরীকা প্রিয়তিকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি রে তোর মন খারাপ কেন? তোর চেহারার এমন অবস্থা কেন’? এসময় প্রিয়তি সাগরীকাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। সাগরীকাও আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না। এরপর সাগরীকা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ওড়না দিয়ে প্রিয়তির চোখ মুখ মুছে দিয়ে বলল, ‘কি হয়েছে বল’। প্রিয়তি ভাঙ্গা কন্ঠে করুন সুরে বলল, ‘কিছু হয়নিরে সাগরীকা তবে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, আজ আর তোর সহায়তা ছাড়া আমার মুক্তি নেই’। সাগরীকা বলল, ‘তোর সেই বাবুটা কই’? এই কথাটি প্রিয়তির বুকের মধ্যে যেন তিরের মতো বিদ্ধ হলো। প্রিয়তির ঠোঁট কাঁপছে। কিছু বলতে চায় কিন্তু আবার ফিরিয়ে নেয়। এরপর অনেক কষ্টে মুখ খুলল প্রিয়তি, ‘তুই বুজি আজ আমাকে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছিস’। সাগরীকা বলল, ‘এই কথা কেন বলছিস? এতদিন তো আমাদের একটু সময়ও দিতি না। ক্লাশ শেষ না হতেই বাবুকে নিয়ে বের হয়ে যেতি। আগেতো বাসায় গিয়েও অনেক ফোন দিতি। বলতে পারবি তিন চার মাসের মধ্যে ভুলেও একবার আমাকে ফোন দিয়েছিস’? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির বুকটি যেন ঝাজড়া হয়ে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে। সাথে প্রিয়তির পেটের মধ্যে জন্ম নেওয়া তিন চার মাসের ভ্রুনটিও যেন বের হয়ে যেতে চাচ্ছে। প্রিয়তি মনে মনে বলছে, ‘বের হয়ে যাক পেটের মধ্যে থেকে, তাহলে সকল আপদ মুক্ত হতো’। প্রিয়তির চোখে আবার ঝর্নার মতো জল দেখে সাগরীকা নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, ‘সরি দোস্ত আসলে আমি বুঝতে পারিনি তোর মনে এত কষ্ট। আমাকে ক্ষমা করে দিস। কি হয়েছে তোর, আমাকে সব খুলে বল’।


প্রিয়তি কাপাকাপা কন্ঠে বলল, ‘আমাকে একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবি? আমার খুব লজ্জা করছেরে সাগরীকা, তুই আর আমাকে লজ্জা দিছ না’। এই বলে প্রিয়তি তার সামান্য উঁচু হওয়া পেটটিতে হাত দিয়ে দেখালো। সাগরীকার আর কিছু বুঝতে বাকি রইল না। শুধু মনে মনে বলল, ‘আহারে প্রিয়তির সেই আদরের বাবুটিও আজ বাবুর বাবা হতে চলছে’। এরপর সাগরীকা প্রিয়তিকে বলল, ‘তোর সেই বাবুটিকেও ডাক একসাথে যাই ডাক্তারের কাছে’। প্রিয়তি একটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল, ‘তুই আর বাবু বাবু ডেকে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিছ না। বাবু এখন আর বাবু নেই। আমাকে একটি বাবু দিয়ে সে চলে গিয়েছে। সে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে এখন বাবু ডাকলে অপমান করা হবে। এখন অন্য কেউ তাকে বাবু ডাকে না, বর বলে ডাকে। আর সে এত তাড়াতাড়ি বর না হলেও বাবু বাবু ডাকার মতো নারীর এখন কি তার অভাব আছে’? সাগরিকা বলল, ‘আর তুই’? প্রিয়তি বাম হাত দিয়ে চোখের জল মুছছে আর ডান হাত সেই উচু পেটে রেখে বলল, ‘আমি এখন আর আমার বুকের সন্তানকে নষ্ট করবো না। আমি এই বুকের সন্তানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখবো। ওকেই আমি বাবু বাবু ডেকে জীবনটা পাড় করে দেবো। এটাই আমার সান্ত্বনা’।


সাগরীকা প্রিয়তির কথা যতই শুনছে ততই অবাক হয়ে হচ্ছে। কিছুক্ষন নীরব থেকে বলল, ‘তোর আসল বাবুরই খবর নেই আর এই নতুন বাবুকে বুকে নিয়ে কি কলঙ্কের ভার আরো ভারী করতে চাস? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির লাল চোখ আরো লাল হতে লাগল। রক্তাক্ত চোখেই সাগরীকার দিকে তাকিয়ে প্রিয়তি বলল, ‘এটা আমার ভালোবাসার ফসল, ভালোবাসার ক্ষেত্রে কলঙ্ক বলতে কিছু নেই। আর কলঙ্ক যদি হয়েই থাকে হোক তাতে কি আমি এই কলঙ্ক মাথায় নিয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমি যে জীবনে কাউকে ভালোবেসছিলাম, কারো কাছে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলাম তার একটু স্মৃতি বা চিহ্ন হলেও থাক আমার বুকে। স্মৃতির মাঝেতো একটু ক্ষত থাকবেই।

 

সাগরীকা প্রিয়তিকে অনেক বোঝালো তারপর প্রিয়তি রাজী হলো অনাগত সন্তানটি এবরশন করার জন্য। এর কয়েকমাস পর নিউজ পেপারে একটি হেডলাইন হলো, “রাস্তার উপর ব্যাগে মোড়ানো জীবন্ত শিশু”। খবরটি মুহূর্তের মধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেল। সেই নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটিও খবরটি তার নিজ আইডিতে শেয়ার করে লিখলো, ‘কিয়ামত খুবই সামনে চলে আসছে’। তার এই স্ট্যাটাস দেখে প্রিয়তীর বান্ধবী সাগরীকা হাহা রিএ্যাক্ট দিলো। কিন্তু নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটি কিছুই বুঝতে পারলো না। আর প্রিয়তি তো তার সেই প্রিয় বাবুটির ব্লক লিস্টেই আছে। সাগরীকা প্রিয়তিকে নীল পাঞ্জাবীওয়ালার স্ট্যাটাস স্কীনসট দিয়ে দেখালো। প্রিয়তি স্কীনসট দেখে চোখে একফোটা জলও আনলো না। শুধু তাকিয়ে রইল স্কীনসটের উপরে গোলাকার ছোট্ট একটি ছবির (প্রোফাইল পিকচার) উপর। এই সেই নীল পাঞ্জাবীপড়া ছবি যা দেখে সে বাবুটিকে নিজের বর হিসেবেই ভেবে নিয়েছিল। এসময় প্রিয়তিও তার প্রোফাইলে লাল শাড়ি পড়া ছবিটি দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল।


Monday, March 7, 2022

Mehazabien Chowdhury, Biography, Age, Family & More

Mehazabien Chowdhury, Biography, Age, Family & More

Mehazabien Chowdhury

 Born : Mehazabien Chowdhury 19 April 1991 (age 30) Chittagong, Bangladesh

Nationality : Bangladeshi

Occupation : Actress

Years active : 2009-present 

Notable work : Boro Chale 

Awards : Lux Channel I Superatar (2009), 

Meril Prothom Alo Awards (2017,2018) 

She has acted in numerous TV dramas and came to limelight after acting in a TV commercial for mobile phone operator Banglalink. In 2017, she was starred in a popular television drama Boro Chele.


 Early life and education :

Chowdhury was born on 19 April 1991 in Chittagong, Bangladesh. Her father, Mohiuddin Chowdhury, is self-employed and has worked in Oman as well as United Arab Emirates Her mother's name is Ghazala Chowdhury. She is the eldest among her siblings, two brothers (Ali Shan Chowdhury and Musdaque Chowdhury) and two sisters (Malaika Chowdhury and Kynaat Kareem Chowdhury) Due to her father’s work, they had to travel a lot. They have visited the UK, USA, Germany, France, Thailand, etc to name a few. 


Career :

Chowdhury began her career as a model. After winning the Lux Channel I Superstar contest, she signed to appear in Salauddin Lavlu's ‘Waris’.Later, the film was canceled. Chowdhury's first television debut was in Tumi Thako Shindhu Parey. Mehazabien then started to appear in television in commercials. She played a role as the heroine in romantic-comedy telefilm Ekai 100 and romantic tragedy Boro Chele. In 2015, Mehjabin Chowdhury acted in the Mostofa Sarwar Farooki's film Duboshohor.

In February 2022, her first web film Redrum directed by Vicky Zahed released on Chorki.

Pageantry :

She was crowned as Lux Channel I Superstar in 2009 where Mounita Khan Ishana finished as first runner up and Sadika Swarna finished as second runner up.

Education : 

School :  Indian School, Sohar, Oman

College  :  Shanto-Mariam University of Creative Technology (SMUCT), Dhaka, Bangladesh

Educational :  Status Diploma in Fashion Designing

দুঃখ, কষ্ট ও বিরহের ২৫ টি উক্তি

দুঃখ, কষ্ট ও বিরহের ২৫ টি উক্তি

 

Picture - Google

01. সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ।

– হযরত আলী (রাঃ)

02. কপালে সুখ লেখা না থাকলে সে কপাল পাথরে ঠুকেও লাভ নেই। এতে কপাল যথেষ্টই ফোলে, কিন্তু ভাগ্য একটুও ফোলে না

– কাজী নজরুল ইসলাম

03. একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না।

– জর্জ লিললো

04. তার জন্য কাঁদ যে তোমার চোখের জল দেখে সেও কেঁদে ফেলে, কিন্তু এমন কারো জন্য কেদোনা যে তোমার চোখের জল দেখে উপহাস করে।

– রেদোয়ান মাসুদ

05. আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।

-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

06. পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

07. জীবনে দুটি দুঃখ আছে। একটি হল তোমার ইচ্ছা অপুর্ণ থাকা, অন্যটি হল ইচ্ছা পুর্ণ হলে আরেকটির প্রত্যাশা করা।

-জর্জ বার্নার্ড শ

08. সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।

– হুমায়ূন আহমেদ

09. যারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা কখনও অন্যের দুঃখ কষ্টকে উপলদ্ধি করতে পারেনা।

-রেদোয়ান মাসুদ

10. অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা আর না।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

11. মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে।

–কাজী নজরুল ইসলাম

12. মেয়েদের চোঁখে দুই রকমের অশ্রু থাকে, একটি দুঃখের অপরটি ছলনার।

– পিথাগোরাস

13. প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।

– রবা ঠাকুর

14. চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।

– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

15. অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।

–হোমার

16. নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, তারপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তা আর গলে না বরং শক্তিশালী হয়। মানুষের মনও একই রকম, একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন পরিবর্তন হয় না।

– টার্মস টমাস

17. কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে, কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে, কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে , তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে, তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে।

-রেদোয়ান মাসুদ

18. দুরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম

– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

19. সত্যিকার ভালোবাসার পথ কখনোই মসৃণ হয় না।

– সেক্সপিয়র

20. পুরো দুনিয়াটাই একটা রঙ্গমঞ্চ, আর প্রতিটি নারী ও পুরুষ সে মঞ্চের অভিনেতা; এই মঞ্চে প্রবেশ পথও আছে আবার বহির্গমণ পথও আছে, জীবনে একজন মানুষ এই মঞ্চে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন।

– সেক্সপিয়র

21. নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আরা নেই।

-রেদোয়ান মাসুদ

22. হাসি সবসময় সুখের কারণ বুঝায় না মাঝে মাঝে এটা ও বুঝায় যে আপনি কতটা বেদনা লুকাতে পারেন।

– হুমায়ূন আহমেদ

23. বিচ্ছেদেরর মুখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া ওঠে।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

24. কাউকে দুঃখ দিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভাল। কারণ নিজের কষ্টের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিলে জীবন ভরে তার অভিশাপ মাথায় নিয়ে চলতে হয়।

– রেদোয়ান মাসুদ

25. দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে, কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।

—মার্ক টোয়েন

প্রেম ভালোবাসার ২৫ টি উক্তি

প্রেম ভালোবাসার ২৫ টি উক্তি

ডেল কার্নেগী

 01.অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।

– হুমায়ূন আহমেদ

02. যে ভালবাসার মাঝে না পাওয়ার ভয় থাকে,আর সেই কথা মনে করে দু’জনেই কাদে, সে ভালবাসা হচ্ছে প্রকৃত ভালবাসা।

– রেদোয়ান মাসুদ

03. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ্ জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত , উত্তরটা সঠিক নয় । সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি , কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি ।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

04. ভালোবাসা হচ্ছে এক ধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারীর থেকে আলাদা করে দেখে, আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে ।

-লুইস ম্যাকেন

05. গভীর ভালোবাসার কোনো ছিদ্রপথ নেই ।

– জর্জ হেইড

06. বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

– হুমায়ূন আহমেদ

07. ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানে না। মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানে না।

– সমরেশ মজুমদার

08. কেউ তোমাকে অনেক ভালোবাসবে, সহজেই অনেক আপন করে নিবে। আর তাতে তুমি আনন্দে ভেসে যেও না। এ আনন্দ তোমার জন্য নাও সইতে পারে। অপেক্ষা করো সময়ের জন্য। সময়ই বলে দিবে এ ভালবাসা তোমার জন্য দুঃখের না সুখের।

– রেদোয়ান মাসুদ

09. প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূন্য জগতের বাসিন্দা।

– হূমায়ুন আহমেদ

10. কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পূর্ণ আলাদা । কামনা একটি সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত চিরন্তন ।

– কাজী নজরুল ইসলাম

11. আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়; একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

12. বিয়ের পরে সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, স্বামী স্ত্রী যেন দুটো যন্ত্র হয়ে যায়। যেখানে সবকিছু চলে নিয়ম মাফিক। ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনিয়ম, যখন সেখানে নিয়মকানুন চলে আসে সেখানে আর ভালোবাসা থাকে না।

– রেদোয়ান মাসুদ

13. বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না; ইহা দুরেও ছুড়ে ফেলে দেয়।

– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

14. ভালোবাসা এবং ভয় একত্রে মিশ্রিত হতে পারে না।

– রেগনার্ড।

15. ভালবাসিতে শিখ, ভালবাসা দিতে শিখ তাহলে তোমার জীবনে কখনো ভালবাসার অভাব হবেনা।

-টমাস ফুলার

16. ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে , কিন্তু তাঁরা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্পসময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সবসময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই ।

– হূমায়ুন আহমেদ

17. দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পরে তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম। – হুমায়ূন আজাদ

18. প্রেমের ব্যাপারে যদি কেউ জয়ী হতে চায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার একমাত্র অস্ত্র হলো পলায়ন করা।

– নেপোলিয়ান।

19. পৃথিবীতে কেউ কারো নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয়, আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়।

– রেদোয়ান মাসুদ

20. ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ।’

– জর্জ চ্যাপম্যান

21. জীবনে দুটো জিনিস খুবই কষ্টদায়ক।। একটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু তা তোমাকে বলে না।। আর অপরটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে না এবং সেটা তোমাকে সরাসরি বলে দেয়।

– সেক্সপিয়ার

22. সোনায় যেমন একটু পানি মিশিয়ে না নিলে গহনা মজবুত হয় না, সেইরকম ভালবাসার সঙ্গে একটু শ্রদ্ধা, ভক্তি না মিশালে সে ভালবাসাও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

– নিমাই ভট্টাচার্য

23. ভালোবাসা এবং যত্ন দিয়ে মরুভূমিতেও ফুল ফোটানো যায়।

– ডেভিড রস ।

24. ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনো নিষ্পত্তি হবে না।

– গ্যেটে

25. পৃথিবীতে ভালবাসার একটি মাত্র ঊপায় আছে, সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালবেসে যাওয়া।

-ডেল কার্নেগী
শিক্ষামূলক ১০ টি উক্তি

শিক্ষামূলক ১০ টি উক্তি

Picture - Google

01. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

-শেখ সাদী

02. অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।

– ডেল কার্নেগি

03. টিয়া পাখির মতো মুখস্ত করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না, শিক্ষা হচ্ছে সেটা যা একজন মানুষের ভিতরের কুশিক্ষাকে দূরে করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ যোগায়।

– রেদোয়ান মাসুদ

04. জ্ঞানীর হাত ধরা যায়, কিন্তু বোকার মুখ ধরা যায় না।

-জর্জ হার্বাটর

05. জ্ঞানী লোক কখনও সুখের সন্ধান করে না।

– এরিষ্টটল

06. পারিব না’ একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার; পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার একবার না পারিলে দেখ শতবার।

– কালীপ্রসন্ন ঘোষ

07. কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারন শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা॥ ”

– টমাস আলভা এডিসন।

08. শিক্ষার উচিত তাকে উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হতে প্রস্তুত করা, চাকরি খুঁজতে নয়।…আমরা যদি তরুণদের চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তুলতাম, তাহলে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না

– ড. মুহাম্মদ ইউনূস

09. আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই।

– প্রমথ চৌধুরী।

10. সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া।

– থেলিস।


বিখ্যাত মনীষীদের ১০০ বাণী

বিখ্যাত মনীষীদের ১০০ বাণী

উক্তি মানুষকে আলোর পথ দেখায়, হৃদয়ে অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রতিটি মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় হতাশায় ডুবে যায়, তখন নিজের সম্পর্কে নিজের ধারনাই পাল্টে যায়, জীবনের সব আশা ছেড়ে দিয়ে শেষ দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে। সেই মুহুর্তে একজন মানুষের লাগে বড় ধরনের অনুপ্রেরণা। সবার আশেপাশে সবসময় ভালো মানুষ পাওয়া যায় না যে তাকে সঠিক পরামর্শ দেবে। তাই এমন সময় বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি বা বাণী তার চোখ খুলে দিতে পারে, দেখাতে পারে নতুন পথ। এজন্য প্রতিটি মানুষেরই উচিত বেশি বেশি বই পড়া। উক্তি সাধারণত বই থেকেই নেওয়া হয়। বইয়ের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণ্নার মধ্যে ছোট্ট দুই এক লাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুও বহন করে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো একসময় হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ বাণী বা উক্তি।

উক্তি যে শুধু হতাশার সময় অনুপ্রেরণা জোগায় তা নয়, উক্তি মানুষের নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর বহু বিখ্যাত মানুষের মুখে প্রায়ই বলতে দেখা যায় যে, এমুক একটি বই তার জীবনকে বদলে দিছে। এজন্য সবারই প্রচুর বই পড়তে হয়, জ্ঞানীগুণীদের উপদেশ শুনতে হয়, তাদের উক্তি বা বাণী পড়তে হয়, আর সে অনুযায়ী কাজ করতে হয়।

বিল গেটস
ছবি - প্রথম আলো


জনপ্রিয় ১০ টি উক্তি:

01. যে নদীর গভীরতা বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ কম।

-জন লিভগেট

02. প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হল দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার দুঃখও কমে গেছে।

– রেদোয়ান মাসুদ

03. পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় থাকার কোন সার্থকতা নে।

– ইউলিয়ামস হেডস

04. প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক। -আব্রাহাম লিংকন

05. আমরা সবাই পাপী; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে; অন্যের পাপ মাপি!

– কাজী নজরুল ইসলাম

06. হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়।

— পীথাগোরাস


07. মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।

– মুনীর চৌধুরী

08. একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়ে থাকার চেয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির প্রিয়জন হওয়া অনেক সম্মানের, গৌরবের।

– রেদোয়ান মাসুদ

09. সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

10. নদীতে স্রোত আছে, তাই নদী বেগ বান। জীবনে দন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্রময়।

-টমাস মুর

জীবনকে বদলে দেওয়া ২০ টি উক্তি:

01. স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে; স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।

– এ পি জে আব্দুল কালাম

02. আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ।

– বিল গেটস

03. যতবার আমি ব্যর্থ হই এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই তার উপর সরাসরি নির্ভর করে আমি কতবার সফল হতে পারব।

-টম হপকিন্স

04. জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়!

– এরল ওসমান

05. ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোন একজন।

– রেদোয়ান মাসুদ

06. আপনার জন্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যদি দুই পর্বতের নিচে ও থাকে তবু ও তা আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। আর আপনার জন্য যা নির্ধারণ করা হয় নি, তা যদি দুই ঠোঁটের মাঝে ও থাকে তবু ও তা আপনার কাছে পৌঁছবে না।

– ইমাম গাজ্জালী (রঃ)

07. এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।

– আইনস্টাইন

08. আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে তবে আমার অস্তিত্বের কোন মূল্য নেই।

– সুইফট

09. তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো।

– লেলিন

10. আপনি যে নতুন একটি কাজ হাতে নিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই সত্যিকারের সিদ্ধান্তের মাপকাঠি ধরা হয়। যদি হাতে কোন কাজ না থাকে, তাহলে আপনি এখনও আপনার সত্যিকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।

-টনি রবিনস

11. মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।

_ রেদোয়ান মাসুদ

12. স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাই বলে, স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন।

– ব্রায়ান ডাইসন

13. সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়।

– হুমায়ূন আজাদ।

14. গতকাল চালাক ছিলাম, তাই পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছিলাম… আজ আমি বিজ্ঞ, তাই নিজেকে বদলাতে চাই।

-জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি

15. ধৈর্যশীল ব্যক্তির ক্রোধ থেকে সাবধান।

-ড্রাইডেন

16. বুদ্ধিমান লোক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ ব্যক্তি নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয় ।

-হযরত আলী (রাঃ)

17. যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়।

– ডঃ লুৎফর রহমান

18. যাহা তুমি দেখাও, তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত। যা তুমি জান, তার তুলনায় কম কথা বলা উচিত। 

-উইলিয়াম সেক্সপিয়ার

19. এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।

 -আইনস্টাইন

20. কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না।

-উইলিয়াম শেক্সপিয়র

অনুপ্রেরণামূলক ১০ টি উক্তি:

01. ব্যর্থ হওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়, ব্যর্থতা নতুন করে আবার শুরু করার প্রেরণা। হাল ছেড়ে দেওয়া মানেই হেরে যাওয়া।

– অ্যানোনিমাস

02. পৃথিবীতে কোনো মেয়েই ছয়টা গাড়ীর মালিক ছেড়ে সিক্স প্যাক ওয়ালা ছেলেদের সাথে যাবে না, তাই জিমে যাওয়া বন্ধ করে কাজে যাও

– রবার্ট মুগাবে

03. যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে?

– শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

04. দুঃসময়ের অন্ধকার কখনো কখনো আমাদের জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটির দ্বার খুলে দেয়।

– অ্যানোনিমাস

05. জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই, যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।

– রেদোয়ান মাসুদ

06. কখনো হাল ছেড়ে দিও না! এখনকার এই দাঁতে দাঁত চেপে করা কষ্টগুলো তোমাকে বিজয়ীর খেতাব দেবে সারাজীবনের জন্য।

– মোহাম্মদ আলী

07. আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা।

– মাইকেল জর্ডান

08. একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।

– বিল গেটস

09. প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।

– সাইকো জেভার

10. ভুল থেকেই মানুষ শিখে, কিন্তু সে ভুলটি যেন না হয় জীবনের শেষ ভুল। কারণ এমনও হতে পারে আপনি যে সুযোগটি হাতছাড়া করে ফেলেছেন,সে সুযোগটিই ছিল আপনার জীবনের শেষ সুযোগ।

– রেদোয়ান মাসুদ
সফলতা নিয়ে বিখ্যাত মানুষদের সেরা ৩৫টি উক্তি ও বাণী:

সফলতা নিয়ে বিখ্যাত মানুষদের সেরা ৩৫টি উক্তি ও বাণী:

picture calected by google


০১. “সাফল্যের জন্য তোমাকে ৩টি মূল্য দিতে হবে: ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া।”

– ফ্র্যাঙ্ক লয়েড (আমেরিকান লেখক ও শিল্পী)

০২. “যার মাঝে সীমাহীন উ‌ৎসাহ, বুদ্ধি ও একটানা কাজ করার গুণ থাকে, তবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি”

– ডেল কার্নেগী (বিশ্বখ্যাত লেখক ও মোটিভেটর)

০৩. “তুমি যদি তোমার সময়ের মূল্য না দাও, তবে অন্যরাও দেবে না। নিজের সময় ও প্রতিভাকে বাজে বিষয়ে নষ্ট করা বন্ধ করো। তাহলেই সফল হবে।”

– কিম গ্রাস্ট (বিশ্বখ্যাত মার্কেটিং এক্সপার্ট)

০৪. “সফল মানুষের সাথে অসফল মানুষের প্রধান পার্থক্য শক্তি বা জ্ঞান নয়। পার্থক্যটা হলো সত্যিকার সফল হওয়ার ইচ্ছা।”

– ভিন্স লম্বারডি (আমেরিকান ফুটবলার ও কোচ)

০৫. “একজন সফল যোদ্ধা হলো একজন সাধারণ মানুষ, যে অন্যদের চেয়ে বেশি মনোযোগী। ”

– ব্রুস লী (বিশ্বখ্যাত মার্শাল আর্টিস্ট)


০৬. “একটি লক্ষ্য ঠিক করো। সেই লক্ষ্যকে নিজের জীবনের অংশ্ বানিয়ে ফেলো। চিন্তা করো, স্বপ্ন দেখো। তোমার মস্তিষ্ক, পেশী, রক্তনালী – পুরো শরীরে সেই লক্ষ্যকে ছড়িয়ে দাও, আর বাকি সবকিছু ভুলে যাও। এটাই সাফল্যের পথ।”

– স্বামী বিবেকানন্দ (ভারতীয় পন্ডিত, সাধক, ও লেখক)

০৭. “একজন মানুষ এখন কতটা উপরে আছে, তা দিয়ে আমি তার সাফল্য মাপি না। একদম নিচে পড়ে যাওয়ার পর সে নিজেকে কতটা ওপরে তুলতে পারে – সেটাই আসল কথা।”

– জর্জ এস, প্যাটন (২য় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান সেনাবাহিনীর জেনারেল)

০৮. “সাফল্য চাইলে সাফল্যকে লক্ষ্য বানিও না; তুমি যা করতে ভালোবাসো, সেটাই করতে থাক। সাফল্য নিজেই ধরা দেবে।”

– ডেভিড ফ্রস্ট (বৃটিশ সাংবাদিক ও লেখক)

০৯. “সাফল্য অর্জন করা আর সফল হওয়া এক নয়। সুবিধা পেলে অনেকেই সফল হতে পারে। অনেককে জোর করে সফল বানানো হয়। কিন্তু যে নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয় – সেই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করে”

– সংগৃহীত

১০. “সাফল্যের মূল্য হল হাতের কাজের প্রতি ভালোবাসা আর কঠোর পরিশ্রম। সেইসাথে, জয় পরাজয় ভুলে নিজের পুরো সামর্থ বিলিয়ে দেয়া।”

– ভিন্স লম্বারডি (আমেরিকান ফুটবলার ও কোচ)

১১. “সাধারণ মানুষ যতক্ষণ ভালো লাগে, ততক্ষণ কাজ করে। আর অসাধারণ সফল মানুষেরা ভালো না লাগলেও যতক্ষণ না কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ কাজ বন্ধ করে না”

– ব্রায়ান ট্রেসি (বিশ্বখ্যাত সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ ও লেখক)

১২. “জীবনে সফল হতে চাইলে দু’টি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস”

– মার্ক টোয়েন (বিশ্বখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক)

১৩. “ব্যর্থতার ছাই থেকে সাফল্যের প্রাসাদ গড়ো। হতাশা আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের প্রাসাদের দুই মূল ভিত্তি”

– ডেল কার্নেগী (বিশ্বখ্যাত লেখক ও মোটিভেটর)

১৪. “কাজ শুরু করাই হলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি”

– পাবলো পিকাসো (বিখ্যাত স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী)

১৫. “সাফল্য একটি বিজ্ঞান। সঠিক উপাদান মেশালে তুমি সঠিক ফলাফল পাবে”

– অস্কার ওয়াইল্ড (বিশ্বখ্যাত আইরিশ কবি, লেখক ও নাট্যকার)

১৬. “যদি তোমার সমালোচনা করার মত কেউ না থাকে, তবে তোমার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে”

– ম্যালকম এক্স ( ৫০-৬০ এর দশকের আমেরিকার মুসলিম নেতা)

১৭. “আমি মনে করি সাফল্য হলো তুমি যা করতে চাও সেই বিষয়টি সবচেয়ে ভালো ভাবে করার চেষ্টা করে যাওয়া”

– মার্গারেটা থ্যাচার (‘আয়রন লেডী’-খ্যাত সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী)

১৮. “একজন মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়া তার ক্ষমতার ওপর যতটা না নির্ভর করে, তারচেয়ে বেশি তার দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে। যারা সফল হয়, তারা সফল হওয়ার আগে থেকেই সফল মানুষের মত আচরণ করে। এই বিশ্বাসই একদিন সত্যিতে পরিনত হয়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি অবশ্যই সফল হবেন, তবে আপনার ব্যবহারেও তা প্রকাশ পাবে। এবং আপনি নিজেই নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখে অবাক হয়ে যাবেন”

– উইলিয়াম জেমস (আমেরিকান দার্শনিক ও মনোবিজ্ঞানী)

১৯. “মানুষের জীবনে কঠিন সময় আসাটা খুব দরকার। কঠিন সময়ের কারণেই মানুষ সাফল্য উপভোগ করতে পারে”

– এ.পি.জে আব্দুল কালাম (পদার্থ বিজ্ঞানী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি)

২০. “সাফল্য তখনই আসে যখন একজন মানুষ তার নিজের ক্ষমতার পুরোটা কোনও কাজে বিলিয়ে দেয়”

– জন উডেন (বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড়)

২১. “সাফল্য খুব সহজ ব্যাপার। সঠিক কাজটি সঠিক ভাবে ও সঠিক সময়ে করে ফেলো”

– আর্নল্ড গ্লাসগো (আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা)

২২. “সাফল্যের আগুন একা একা জ্বলে না। এটা তোমাকে নিজ হাতে জ্বালাতে হবে”

– আর্নল্ড গ্লাসগো (আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা)

২৩. “সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ম বার উঠে দাঁড়ানো”

– বন জোভি (বিশ্ব বিখ্যাত রক মিউজিশিয়ান)

২৪. “অন্যরা ছেড়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় হাল ধরে রাখতে পারা সাফল্য অর্জন করার জন্য খুব বড় একটা ব্যাপার”

– উইলিয়াম ফেথার (বেস্ট সেলিং লেখক)

২৫. “সাধারণ সফল আর অসাধারণ সফলদের মধ্যে পার্থক্য হলো, অসাধারণ সফলদের ‘না’ বলার ক্ষমতাও অসাধারণ”

– ওয়ারেন বাফেট (আমেরিকান বিলিওনেয়ার)

২৬. “ব্যবসার জগতে তারাই সবচেয়ে বেশি সফল, যারা তাদের সবচেয়ে ভালোলাগার কাজটি করছে”

– ওয়ারেন বাফেট (আমেরিকান বিলিওনেয়ার)

২৭. “সফল মানুষেরা সাধারণত তাঁদের কাজের বিষয়কে পাগলের মত ভালোবাসেন”

– সংগৃহীত

২৮. “সাফল্য ঘটে না। তাকে ঘটাতে হয়”

– ক্রিস গ্রসার (আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা)


২৯. “সফল হওয়ার চেষ্টা করার বদলে দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করো। সাফল্য এমনিই আসবে”

– আলবার্ট আইনস্টাইন (বিশ্বখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী)

৩০. “অসত্যের পথে সফল হওয়ার চেয়ে, সত্যের পথে ব্যর্থ হওয়াও ভালো”

– হারমান মেলভি (আমেরিকান লেখক ও কবি)

৩১. “সন্তানের সাফল্য চাইলে তাকে মাছ খেতে দেয়ার বদলে মাছ ধরতে শেখাও”

– মাও সে তুং (চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের নেতা)

৩২. “অতীতের সাফল্য হয়তো তোমাকে ভবিষ্যতের ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু তুমি যদি প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে পারো, তবে দিন শেষে তুমি একজন সফল হবেই।”

– জ্যাক মা (প্রতিষ্ঠাতা, আলিবাবা গ্রুপ)

৩৩. “অন্যের সাফল্যের বদলে, অন্যের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করো। বেশিরভাগ মানুষ মোটামুটি একই রকম কারণে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে সফল হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে”

– জ্যাক মা (প্রতিষ্ঠাতা, আলিবাবা গ্রুপ)

৩৪. “রাতারাতি সাফল্য বলতে কিছু নেই। মনোযোগ দিলে দেখবে সব সাফল্যই অনেক সময় নিয়ে আসে”

– স্টিভ জবস (প্রতিষ্ঠাতা, এ্যাপল কম্পিউটার্স)

৩৫. “সাফল্য আসলে কাজ করে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। সফল মানুষেরা সব সময়ে কাজ করে যান। তাঁরা ভুল করেন, কিন্তু কখনও সেই কারণে থেমে যান না”

– কনরাড হিলটন (হিলটন হোটেল চেইন এর প্রতিষ্ঠাতা)

তানজিন তিশা অভিনেত্রীর বায়োগ্রাপি

তানজিন তিশা অভিনেত্রীর বায়োগ্রাপি

বাংলাদেশের অন্যতম অভিনেত্রী ও মডেল দের মধ্যে একজন তানজিন তিশা ‌ অভিনয় এর মাধ্যমে জয় করে নিয়েছে দর্শকের মন। তানজিন তিশা অপূর্ব হাসি মায়া ভরা সৌন্দর্য যেন সবার দৃষ্টি কাড়ে। বাংলাদেশের অসংখ্য নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন এবং অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকরাও।

প্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আপনারা যদি তানজিন তিশার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন এখন আমি আপনাদের তানজিন তিশার হাই ফ্রেন্ড ওই কি ও পরিবার নিয়ে আলোচনা করব।

কমবেশি আমরা সবাই তানজিন তিশার ভক্ত। 

তাই আমাদের জন্য রাখা উচিত তানজিন তিশা সম্পর্কে। হয়তো কখনো কেউ আপনাকে বলতে পারি আপনার ভক্ত সম্পর্কে কিছু বলুন তখন আপনারা কি করবে তাই এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও তানজিন তিশার সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।

তানজিন তিশা


পুরা নাম:  তানজিন তিশা

জন্মতারিখ: ২৫ মে, ১৯৯৩

জন্মস্থান:  সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা 

শিক্ষা:  সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।

পেশাঃ মডেল সক্রিয় বছরগুলো: 2012 বর্তমান

উচ্চতা : 5 ফুট 5 ইঞ্চি।

ধর্ম: ইসলাম

রাশি চক্র: কুম্ভ 

তানজিন তিশার প্রাথমিক জীবন: 

তানজিন তিশা জন্মগ্রহণ করেছে 1993 সালে ২৫মে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে। ছোটবেলা থেকেই তানজিন তিশা অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

তার এই আগ্রহ সৌন্দর্য দেখি বাবা-মা থাকে অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সাহায্য করেছিলেন।

তানজিন তিশার শিক্ষা:

অভিনয়কে প্রধান লক্ষ্য করে তানজিন তিশা তার শিক্ষাজীবন ছড়িয়ে গিয়েছে। সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ক্লিন এন্ড স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর অর্জন করেছে।


তানজিন তিশার ক্যারিয়ার:

অভিনয় জগতে প্রবেশ করে 2011 সালে রবি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তিনি আরো অন্যান্য বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন। 2014 সালে ইউ র্টান নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। ইউ র্টান নাটকে অভিনয় করার জন্য আরফান নিশো ও তানজিন তিশা মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন এমনকি টিভি ভিডিও ক্লিপ এ কাজ করছেন।

এক্স বয়ফ্রেন্ড

তানজিন তিশার জনপ্রিয় নাটক 



তানজিন তিশা নাটক সমূহ:

তানজিন তিশার জনপ্রিয় নাটক সমূহ এক্স বয়ফ্রেন্ড, ময়না টিয়া, অচেনা বন্ধু, চকলেট বয়, মিশন ব্রেকআপ।

এছাড়াও তিনি তিব্বত বিউটি সাবান, রবি, প্যারাসুট ওয়েল, পোলার আইসক্রিম, টাটকা পানীয় জল ইত্যাদি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন।

নারী দিবসের বিশেষ পুরস্কার 2022


তানজিন তিশার অপিসিয়াল ফেসবুক একাউন্ট

তানজিন তিশার অপিসিয়াল ফ্রেন্ডস ক্লাব


বিভিন্ন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন।







Sunday, March 6, 2022

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

 

শেখ হাসিনা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

এর আগে শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে তৃতীয়বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনা চতুর্থ, পঞ্চম ও অষ্টম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইবুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।

১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দু’বার গৃহবন্দি করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২মার্চ তাঁকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দি ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দি হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন।

শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাঁকে লক্ষ করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁকেসহ তাঁর গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন। লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে তাঁকে লক্ষ্য করে ২বার গুলি বর্ষণ করা হয়। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও তাঁর গাড়ি লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করা হয়।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাঁকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তাঁর কামরা লক্ষ করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু এভিন্যুয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তাঁর দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫ শোর বেশি মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।

শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।  


শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সঙ্গে সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।

২০১৪-২০১৮ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এরফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের উপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন ইত্যাদি।

চতুর্থ মেয়াদে এ পর্যন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন দেশের কাতারে অন্তভুক্তিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চার-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে। সবগুলি বিভাগে আইসিটি পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করে।

সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘হুপে-বোয়ানি’ (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাস্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক ‘Pearl S. Buck ’৯৯’ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার টেরেসা’ পদক প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাঁকে Paul Haris ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাঁকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পদক প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ‘Medal of Distinction’ পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ‘Head of State’ পদক লাভ করেন। ২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বৃটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং ২ বার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেসকো তাঁকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁকে রিজিওনাল লিডারশীপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাঁকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে।

জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করে।

শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ‘‘শেখ মুজিব আমার পিতা’’, ওরা টোকাই কেন?, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’’, দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’’, ‘‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’’, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’’, ‘‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’’, ‘‘সাদা কালো’’, ‘‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’’,মুজিব বাংলার, বাংলা মুজিবের, Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes) ইত্যাদি।

শেখ হাসিনা ‘‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’’ এর সভাপতি। তিনি গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দরিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য । প্রযুক্তি, রান্না, সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।


তাঁর স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।


শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশারদ। তাঁর একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতনীর সংখ্যা ৭ জন।

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত ১০০টি উক্তি  2018 - 2022

অ্যাশেস তরুন প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের উল্লেখযোগ্য গান গুলো হল – ছারপোকা, কেমন আছো, সতেরো পৃষ্ঠা, কী আর হবে, ধুলাবালি, তামাক পাতা। 

অ্যাশেস ব্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বিখ্যাত উক্তি জুনায়েদ ইভানের বর্তমান সময়ের তরুন প্রজন্মের নিকট বেশ জনপ্রিয়। নিচে জুনায়েদ ইভানের ১০০টি জনপ্রিয় ও শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি দেয়া হল- 


জুনায়েদ ইভান


১. কখনো মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করো-না। তাহলে একদিন দেখবে, নিজেকে-বিশ্বাস করানোর মত এই পৃথিবীতে কাউকে পাশে খুঁজে পাবে না!

২. ভালোবাসার কোনো চুয়ান্ন একান্ন ধারা নেই, ভালোবাসা মুক্ত,ভালোবাসা থেকে যায়। আকাশ বদলায় না,বদলায় তো বিমান আর বিমানের যাত্রী।

৩. কালো মেঘ দেখলে অনেকের ভালো লাগে। কালো কাজল ভালো লাগে। কালো চোখ ভালো লাগে। শুধু কালো মানুষ দেখলেই আর ভালো লাগে না!

৪. একশ ভাগ সুখের জীবনে আপনি কখনোই সুখে থাকতে পারবেন না কেননা সেই জীবন স্বাভাবিক নয়, সমৃদ্ধ নয়, উন্নত নয়, উপভোগ্য নয় ।

৫. আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রুর না, কাছের মানুষদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বিশ্বাসী মানুষরাই।

৬. জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে।

৭. এই পৃথিবীতে কেউই কারো জন্য অপরিহার্য নয়!

৮. পৃথিবীতে দুটি অনুভুতি কখনোই লিখে প্রকাশ করা যায় না- পাওয়ার অনুভূতি, হারানোর অনুভূতি!

৯. যত ঝড় তুফানই আসুক না কেন। তুমি হাসতে থাকলে নিয়তি কখনো তোমাকে কাদাতে পারবে না!

১০. বৃষ্টিতে আমি রোমন্টিক হই না কারণ বৃষ্টি হলেই ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।

১১. প্রিয় আর্টসেল… আমি তার সপ্ন দেখার শব্দ পাই !

১২. পচে যাওয়া দুর্গন্ধময় ফুলের মর্যাদা যে দিতে জানে তাজা ফুলের সুবাস নেবার অধিকার সেই রাখে!!

১৩. আমি শুধু বাংলা বর্ণমালার প্রথম অক্ষর টা মুছে দিতে চাই তাহলেই আমার অসুখটা সুখ হয়ে যাবে।

১৪. মনের পাথরটা একটু সরিয়ে এবার না হয় আমার সাথে ক’টা দিন কাটিয়েই দেখো; কথা দিচ্ছি আষাঢ়ের শেষ রাতে আমারে ছেড়ে যেতে তোমার খুউউব কষ্ট হবে।

১৫. নিজেকে আবিষ্কার করার জন্য সব চাইতে ভালো সময় হল- যখন আপনি রয়েছেন একটি খারাপ সময়ে…

১৬. অনেক মানুষ আছে যারা জীবনে নানান ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে ও পাথরের মত শক্ত হয়ে থাকে। লোকে ধরেই নেয় যে; পাথরের কোন কষ্ট নেই অথচ পাথরের কষ্টটা’তো এখানেই!

১৭. যেখানে সবটাই আবর্জনা সেখানে কুড়াবার কিছু নেই, ফেলে দিতে হয় সব। একবার কঠিন হওয়া শিখে গেলে জীবনটা সহজ হয়ে যায়। আপনার জীবনের কাছে এই পৃথিবী, পৃথিবীর মানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ এবং ভালোবাসা সবই পাশ্ববর্তী চরিত্র।

১৮. ছেড়া স্যান্ডেল তালিপট্টি মেরে মাইল মাইল হাঁটা যায় কিন্তু বিশ্বাসে তালিপট্টি লাগিয়ে এক কদমও হাঁটা যায় না। ‘বিশ্বাস একবার ভাঙ্গলে আর জোড়া লাগে না ‘ ব্যাপারটা এরকম না হয়ে যদি এরকম হত – বিশ্বাস একবার জোড়া লাগলে আর ভাঙ্গে না !! ইসসশ !

১৯. মানুষটাকে চাইলে ভালোবাসা হারাতে হবে। আর ভালবাসা চাইলে’ মানুষটাকে হারাতে হবে।

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি.


২০. একজন ভুল মানুষ চলে যাবার অর্থ হল সঠিক মানুষটি আসার পথ তৈরী হয়েছে!

২১. তুমি যেদিন চলে গেলে উচ্চ রক্তচাপে প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল ডাক্তার বাবু কীসব বলছিল- ইচ্ছে করছিল – জিভ টেনে ছিড়ে ফেলি! চোখ বন্ধ করলেই তোমার চোখ দুটো দেখতে পেতাম যে চোখ আমার জন্য একদিন কেঁদেছিল আজ বিদায় লগ্নে কাঁদাবার অধিকার সেই চোখের আছে।

২২. কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না। একজনের শূন্যস্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না। শূন্যস্থানের নিচে যেমন দাগ (-)থাকে ; অন্তরেও থাকে!

২৩. একটা চার দেয়ালের ঘরে যদি কয়েকজন ব্যর্থ মানুষ একসাথে সময় কাটায় তাহলে সেখান থেকে একটা বিপ্লব ঘটে যাবার আশংকা থাকে। সফল মানুষ কখনো বিপ্লবের ডাক দেয় না। ঘাড়টা সোজা করার তাগিদ থেকে ব্যর্থরাই এক একজন সমাগত হয় কাল মার্কসের পতাকার নিচে!

২৪. এই শহরটাহ্ বড্ড বেঈমান’ এক্টা মানুষকে খেলার মতো খেলে মস্তিষ্ক মায়া ডুকিয়ে আলাদা হওয়া কথা ভেবে নেয়’এরা কিহ্ নিকৃষ্ট প্রাণী”!!-ভালো থাকতে না দেয়া মানুষ -“তাদের জন্য একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে অটল শুভ কামনা রইলো!


২৫. মুশকিলটা হল আপনি কঠিন আইনের ভয় দেখিয়ে সব কিছুর সমাধান করতে পারবেন না। এই যেমন, আত্মাহত্যার অপরাধ যদি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়,তাতে কার কি আসে যায় বলুন!!!

২৬. মস্তিষ্কের বামদিকে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে সুখ এবং দুঃখ একসাথে থাকে! আমরাই বরং এদের আলাদা করে দেখি..!!

২৭. তুমি কার্পেটের উপর সমুদ্র এঁকেছিলে; আমি গর্ধবের মত সেই সমুদ্রে জাহাজ ভাসিয়ে দিলাম!

২৮. অন্য কাউকে দেখতে বলছো?কপালের টিপ ঠিক আছে কিনা..মানুষ সরে যায় কপাল সরে যায়…ঠিপ ঠিক করে আর কি লাভ বলো…???

২৯. পৃথিবীর সবকিছু বেঈমানী করলেও “সময়” কখনো বেঈমানি করে না,সময় একদিন তোমাকে বুঝিয়ে দিবে “তুমি কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছো, ভালোবাসা হারিয়ে ফেলো না। তুমি তোমার কাছে হয়তো কিছু না কিন্তুু তার কাছে তুমি অনেক দামি !

৩০. একদিন খাবার টেবিলে আচমকা মনে পড়বে আমাকে ;হাতধুয়ে উঠে যাবে, সেদিন আর খাওয়া হবে না।

৩১. সত্য কঠিন হতে পারে, নিষ্ঠুর হতে পারে, অন্যায় হতে পারে তবু বলে ফেললেই দেখবেন হালকা হয়ে গেছেন। তিতা ওষুধ যেমন পানির সাথে মিশিয়ে এক চুমকে খেয়ে ফেলতে হয় কঠিন সত্য সেরকম দম নিয়ে এক নিমিষে বলে ফেলতে হয়। দম ছাড়ার পর দেখবেন অর্ধেক হালকা হয়ে গেছেন।

৩২.অনেক টাকার আলো জ্বলে রেস্তোরায় জানতে ইচ্ছে করে কী থাকে আহা; ভিখারীর হাতে মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যায়স্টেশনে এক গ্লাস পানি অথবা এক গ্লাস মরণ চোখে জল ঢেলে দাও!

৩৩. মানুষ চিনতে ভুল করলে লজ্জার কিছু নাই,কারন অমানুষ গুলো দেখতে অবিকল মানুষ এর মতই।

৩৪. আমরা প্রবেশ করি অনুমতি নিয়ে,আর বিদায় নেই অনুমতি ছাড়া।

৩৫. বোকা যখন বুঝতে পারে যে সে বোকামি করছে, তখন বোকামি থেকে উদ্ধার পাবার জন্য সে যে বুদ্ধি খুঁজে বের করে সেটা খুব বিপদজনক হয়। আদতে বোকা যখন বুদ্ধি খাটিয়ে কোন কাজ করে তখনই সে সব চাইতে বড় বোকামিটা করে।

৩৬. আমার ইচ্ছেরা-অনিচ্ছেরা আমার মত হয়নি!আমাকে বানানোর আগে কথা হয়নি,আমার খোদার সাথে!কথা হলে বলা যেতো, “আমি বকুল ভালোবাসি”!

৩৭. এ পৃথিবীতে মানুষকে হত্যা করার অপরাধে যত মানুষ শাস্তি পেয়েছে! তার চেয়েও বেশি পেয়েছে মানুষকে ভালবাসার অপরাধে!!

৩৮. সানগ্লাস লাগালাম, তোমাকে বলেছিলাম অনেক রোদ, আসলে চোখের নিচে গর্ত হয়েছে ছোট খালের মত!

৪০. আমি জানি এক একটা এগারো ডিজিটের সংখ্যার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক একজন আধামরা মানুষের কালজয়ী উপন্যাস..!!

৪১. তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই যে ‘ তুমি আমাকে ভালবাসতে’ আর ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। কাউকে চিরদিনের জন্য ভালো না বাসলে আবার ভালোবাসা যায় নাকি? আমি তোমাকে ভালোবাসি; বাক্যটি চিরন্তন সত্য। পাস্ট না; প্রেজেন্ট ইন্ডেফিনেট টেনস!

৪২.যখন মনে না পড়াটা অভ্যাস হয়ে যায় তখন হঠাৎ একদিন মনে পড়ে যাবার মানে হল মানুষটাকে আপনি ভুলে গেছেন কিন্তু আপনি সেটা জানেন না।

৪৩.ভালোবাসলেই হয় না, ভালোবেসে যেতে হয়। প্রথমদিকের উপচে পড়া ভালোবাসা না, প্রতিদিন ভালোবেসে না গেলে ভালোবাসা একদিন সত্যি মরে যায়।

৪৪. ফিরে আসো যেখানে তোমায়, হারিয়ে হারিয়ে আমি, অন্ধকারে পুড়ে যায় এ মন, ফিরে আসো এই তোমাতে..!!

৪৫. সবাই তোমার সাথে বাণিজ্য করতে আসেনি।কেউ দুচোখে কাপড় বেঁধে অন্ধের মতো ভালোবাসতে এসেছে।তার সাথে বাণিজ্যে যেও নাহ! হিসেব করে ব্যবসা হয় ভালবাসা নাহ।

৪৬. যে আসবে না; তার কাছে না আসার অনেক গুলো যুক্তি থাকবে কিন্তু যে আসার সে কেবল ভালোবাসার জোরেই আসবে।

৪৭. ভালো কিছুর অভ্যাস থাকা ভালো,একমাত্র ভালোবাসা ব্যতীত!!

৪৮. কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগ লেগেছিলো; সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায়;সেখানটায় চুমু খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়; ভালবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি।

৪৯. তুমিও কী আমার মত একই গানের লাইনে গলা ছেড়ে কাঁদো!আমার মত বৃষ্টি হলে রাতে ছাতা ছাড়া হাঁটো!

৫০. নষ্ট করো না আমাকে, নষ্টরা কষ্ট পায়। কষ্টরাই আবার নষ্ট করবে তোমাকে। 


জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি..


৫১. ৫২ পৃষ্ঠার একটা কবিতার বই নিয়ে পড়তে বসছিলাম ১৭ পৃষ্ঠার পর আর পড়া হলো না- কী চেয়েছিলাম আমি কী পেয়েছি আমি, হিসেবটা বড়ই গড়মিল।

৫২. আপনি যদি কারো সাথে আপনার দূরত্ব বাড়াতে চান,তাহলে হয় তাকে সম্পূর্ণ জানার চেষ্টা করুন,আর না হয় নিজেকে তার কাছে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে দিন’!

৫৩.মানুষ দুটো সময় চুপ থাকে, যখন তার কথা বলার মত কিছু থাকে না, আর যখন অনেক কথা থাকে কিন্তু সে বলতে পারে না।

৫৪. আমরা আসলে মানুষের কাছে হারি না, আমরা হারি আমাদের ইমোশনের কাছে।

৫৫. ঘৃণার ঘোর কাটিয়ে যাকে একবার ভালোবেসে ফেলবেন, তাকে আর কখনো চাইলেও বুকের তিন ইঞ্চি গভীর থেকে মুছে ফেলতেপারবেন না।

৫৬.পৃথিবী এক চমৎকার গ্রহ, এখানে আষাঢ়ের সন্ধ্যায় রেললাইনে বসে কেউ গল্প শুনালে হাজার বছর বাচতে ইচ্ছা করে!

৫৭. কিছু মানুষ কেবল স্মৃতিতেই সুন্দর !! কেবল স্মৃতিতেই !!

৫৮. এই পৃথিবীতে খাবারের অভাবে কেউ না খেয়ে থাকে না! মানুষ না খেয়ে থাকে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অভাবে!

৫৯. আংশিক অবিশ্বাস সেটা, যেটা সন্দেহ করতেও সন্দেহ করে!! আর পুরোপুরি অবিশ্বাস সেটা যেটা আমি তোমাকে করি!

৬০. মায়াময় কিচ্ছু না, তোমাকে শুধু একটা শুদ্ধ মানুষ খুজে নিতে হবে!

৬১. প্রত্যেকটা পরিপাটী সংসার একদিন লন্ডভন্ড হয়ে যায় বুড়ো অথবা বুড়ি পাখিটার মৃত্যুতে কিংবা বাচ্চা পাখিটা যখন মা হবার আশায় উড়ে চলে যায় অন্য কোন পরিপাটী সংসারে !

৬২. যখন আমি মনে করেছিলাম আমার কোন স্বপ্ন নেই, তখন সেটা স্বপ্ন না থাকার অস্তিত্ব প্রমাণ করে না। সেটা নেহাত আমার ‘মনে করার’ ভুল ছিল।

৬৩. সব চাইতে কঠিন অভিনয়টা গাধারাই করে। সেটা হল, ভালোবেসেও ভালো না বাসা। আর সব চাইতে সহজ অভিনয়টা করে লম্পটেরা; ভালো না বেসেও ভালোবাসার অভিনয়।

৬৪. সব চাইতে আশ্চর্য বিষয় হল, একটা অসৎ মানুষের গরীব হয়ে থাকা।

৬৫. আপনি যদি কারো সাথে আপনার দূরত্ব বাড়াতে চান, তাহলে হয় তাকে সম্পূর্ণ জানার চেষ্টা করুন আর নাহয় নিজেকে তার কাছে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে দিন।

৬৬. এই পৃথিবীতে খাবারের অভাবে কেউ না খেয়ে থাকে না। মানুষ না খেয়ে থাকে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অভাবে!

৬৮. তোমাকে আর নতুন করে পাবার কি আছে ! তুমি তো আছোই, এই নিশ্চিত বাক্যটি আমাকে, তোমাকে ভালোবাসতে দেয়নি

৬৯. কাউকে পরিপূর্ণ ভাবে পাওয়াটাই সব থেকে ভাল। সেটা সম্ভব না হলে পরিপূর্ণ ভাবে হারানোটাই ভাল।

৭০. তোমার রক্তে “ক্যান্সারের জীবানু’ পেলেও সারা জীবন একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারি। তবে প্রতারনার গন্ধ পেলে এক সেকেন্ডও নয়!

 



" জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি"


৭১. যে দিক থেকে ঝড় আসে বাবুই পাখি তার উল্টো দিকে বাসা বাঁধে। এতে করে লাভ কী হয় ? এত বড় একটা ঝড় উপেক্ষা করার সামর্থ্য কী এইটুকু বাসার আছে ? সেটা সোজা থাকুক আর উল্টো; উত্তাল সমুদ্রে। সবই লন্ডভণ্ড হবে। তাহলে বাবুই পাখি এই কাজটা কেন করে ? কন্ডিশনাল প্রোবাবিলিটি বলে একটা ব্যাপার আছে। উল্টো দিকে বাসা বাঁধলেও সেটা ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে সেটার সম্ভাবনা কিছুটা কম থাকবে। আপনার টিকে থাকার জন্য একটা ছোট সম্ভাবনাকেও প্রকৃতি ছাড়তে চায় না। আপনি কেন ছেড়ে দেবেন নিজেকে ?


৭১. মিথ্যের চেয়ে বেশি ভয়ংকর হলো অর্ধেক সত্য।


৭২. সামান্য ‘সুন্দর’ কিংবা তার থেকে ব্রাইট ফিউচার অন্য কাউকে পেয়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায় অথচ কেউ কেউ ঠিকই আছে… যারা রোড এক্সিডেন্টে দুটি পা হারিয়ে ফেলার পরেও আগলে রাখে কাছের মানুষটিকে…ইয়েস ডুড… এটাই প্রতিশ্রুতি…


৭৩. প্রতারক তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে ! এটা একটা আনন্দের বিষয় ! সারাজীবন অমানুষটা সাথে থাকলে কী ভয়াবহ ব্যাপার ঘটত চিন্তা করা যায় !!!


৭৪. একদল মানুষ নিজেরাই কষ্ট তৈরি করে এটা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি পৃথিবীতে একদল মানুষের জন্মই হয়েছে কষ্ট পাবার জন্য। কেউ যখন বলবে তার মন খারাপ তখন তাকে বক্তৃতা দেবার চেষ্টা করবেন না। সে আপনার কাছে জ্ঞান নেবার জন্য আসেনি… জ্ঞানের দরকার হলে সে বই কিনে পড়ত। আপনি তাকে মন খারাপ না হবার যে তথ্য জ্ঞান দিচ্ছেন ; এই তথ্য জ্ঞান আপনি নিজে জানার পরেও কী মাঝে মাঝে আপনার মন খারাপ হয় না ?? মানুষের মন জয় করতে চান ? তাহলে বলুন কম , শুনুন বেশি।


৭৫. তুমি একটা মানুষকে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালোবাসার অধিকার রাখো যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তাকে একশো ভাগ বিশ্বাস কর। একশো ভাগ বিশ্বাসের ভেতরে যদি এক ভাগ অবিশ্বাস ঢুকে পড়ে তাহলে সেটা একশো ভাগ অবিশ্বাস হয়ে যায়। এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানির ভেতরে এক ফোঁটা নোংরা পানি মেশালে যেরকম গ্লাসের সব পানি নোংরা হয়ে যায়; অনেকটা সেরকম।


৭৬. আমি কতটা ভালো আছি ? এ প্রশ্নের জবাব যদি আমি খুঁজতে যাই তাহলে উওরটা কি হবে ? আমি ভালো আছি এ কথা সবাই বলে। কিন্তু সবাই কি ভালো থাকে ? প্রায় প্রতিটা মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রিয় মানুষটির সাথে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যায় ।


৭৭. দুনিয়া একটা নাট্য মঞ্চ…….!!! এই নাট্য মঞ্চে সবাই কে অভিনয় করে চলতে হয় কখনো হাসি কখনো কান্না…!! সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর মেনে নিতে হয় আমার হারানোর কিছুই ছিলো না বলে,,!!কাঁদো কাঁদো মন নিয়েও নাট্যশালায়ে হাসতে হয়,,!!


৭৮. সে বড় অভিমানী। কেউ চলে গেলে তাকে ফেরাবে না। একা একা কস্ট পাবে। না খেয়ে থাকবে। তার না খাবার সংবাদ শুনে সে কষ্ট পাবে। এতে এক ধরনের আনন্দ আছে। সে হাত কাটবে। প্রিয় জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিসর্জন হল। বিসর্জনে এক ধরনের আনন্দ আছে। আপনি তাকে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে হাসি দিয়ে বলবে ভালো আছি। সে বুঝতে দেবে না, সে ভালো নেই। কষ্ট প্রকাশ করলে কষ্ট কমতে শুরু করে। সে কমতে দেবে না। এতেও এক ধরনের তৃপ্ততা আছে ।


৭৯. যেখান থেকে তুমি জম্ননিয়েছো, তার আগে অনেক কোটি বছর ছিলো তুমি ছিলে না, এবং যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তারপরে, আরো অনেক কোটি বছর থাকবে তুমি থাকবে না ।


৮০. `সাধারণত বড়লোকের মেয়ে গুলো সুন্দর হয় ; কেননা মেয়ের বাবার টাকা বেশি এবং শুধু মাএ এই যোগ্যতায় তিনি মেয়ের সুন্দরি মা কে বিয়ে করেছিলেন ! ক্লিয়ার ?”


৮১. আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা ; অন্য কারো না । আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, সৈন্য শিবিরে সে এক প্রকার বোঝা !!

৮২.পাঁচশো কোটি বছর বয়সের পুরো পৃথিবীটা ৫১,০১,০০,৫০০ কিলোমিটারের একটা গোরস্থান !! আমরা সবাই এই গোরস্থানের অমীমাংসিত অংশ !!


৮৩. পৃথিবীতে দু ধরনের মানুষ আছে । একদল ভালোবাসে বেশি প্রকাশ করে কম । আরেকদল প্রকাশ করে বেশি, ভালোবাসে কম ।

৮৪. বিয়ে করে গর্ধবের মত এক সাথে থাকার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর হলো- ডির্বোস দিয়ে একসাথে থাকা । এরা ভালোবাসে অথচ একসাথে থাকতে চায় না । অথবা একসাথে থাকতে চায় কিন্তু ভালোবাসে না । বড় জটিল এই সমীকরন !!


৮৬. জন্মের দশ মিনিট আগে কোথায় ছিলে তুমি ? কী ছিল তোমার ? এমন কিছু তুমি সাথে করে নিয়ে আসোনি যেটা তুমি পৃথিবীতে এসে হারিয়েছো। যাই পাচ্ছো সবই বোনাস। উপভোগ করো এবং খোদার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো ।


৮৭. অনেকেই আছে যাদের মোবাইলে একটা সংযোগ বিচ্ছিন্ন নাম্বার থাকে । যে নাম্বারে ফোন করে মানুষটাকে পাওয়া যায় না। অনেক মাস পর অনেক বছর পর কোন কোন রাতে ডায়াল করা হয় । তবুও একটা ক্ষীণ আশা । এই বুঝি ` হ্যালো ‘ কন্ঠটি বেঝে উঠবে ।


৮৮. একটা মানুষ কতটা সময় থাকবে, সেটার একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে….. কিন্তু সে মানুষটার প্রতি তোমার অনুভূতি কতদিন থাকবে, সেটার কোন ঠিক নাই !! মানুষ চলে যায়,মানুষ মরে যায়, অনুভূতিরা মরে না……. অনুভূতিদের কোন EXPIRY DATE থাকে না !


৮৯. আমাকে মৃত্যু শিখাতে এসো না, আমার জন্মই হয়েছে কবরে । সবাই নেশায় ডুবে আছে, ঠিক একদিন ঘোর কাটবে মৃত্যুর আগের দিন হলেও !


৯০. যখন কেউ জেনে যাবে আপনাকে তার যতখানি প্রয়োজন, তার চাইতেও তাকে আপনার বেশি প্রয়োজন, তখনি সে আপনাকে অবহেলা করতে শুরু করবে । অবহেলার অশ্রু দু ধরনের হয় । একটি হলো ‘অভিমান’ অভিমানি ‘অপমান’ ।


৯১. শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মৃত্যু হলেও, চোখের কোনো মৃত্যু নেই !! তাকালেই দেখবে লাশটা তাকিয়ে আছে!! একদম চিরচেনা পরিচিত সেই তাকানোর ভঙ্গিটা !


৯২. এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই আছে, ধৈর্য নিয়ে স্বার্থহীন কথা শোনার, কোন মানুষ নেই !


৯৩. প্রিয় মানুষ বলেও আসলে কিছু নেই !

ব্যাপারটা ক্ষেত্র বিশেষ ।

আজকে যে মানুষটিকে খুব,

কাছের বলে মনে হচ্ছে ;

মানুষটার সাথে পরিচয় না হলে !

এমনটা হতো না ।

আপনার জম্ন লেবানন কিংবা

জাপানে হলে,

অবশ্যই আপনি সেই দেশের

কোন মানুষকে ভালোবসতেন !


৯৪. আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ডশ এর বাসায় এসে এক মহিলা অবাক হয়ে বললেন ”আপনার ঘরে দেখছি একটাও ফুলদানি নেই। আমি ভেবেছিলাম, আপনি এত বড় একজন লেখক; আপনি নিশ্চয়ই ফুল ভালোবাসেন। তাই আপনার বাসায় ফুলদানিতে বাগানের তাজা, সুন্দর ফুল শোভা পাবে। ’বার্নার্ডশ এর জবাব ছিল ‘‘ আমি বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরকেও ভালোবাসি। তার অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের মাথা কেটে নিয়ে এসে ঘরে সাজিয়ে রাখব।”


৯৫. ফাঁসিতে যাবার আগে আসামী যখন শেষ বারের মত কাছের মানুষদের সাথে কথা বলার সুযোগ পায়, তখন কী কথা হয় তাদের মাঝে? এক জীবনের স্মৃতির হিসেব এই কটা মিনিটে চুকিয়ে দেয়া কী যায় ? কাছের মানুষটিকে বলা শেষ কথাটি বোধহয় ‘’ ভালো থাকবে’’ দিয়ে শেষ হয়। প্রতিউত্তরে মানুষটিও বোধহয় বলে, তুমিও ভালো থাকবে। কেমন ভয়ংকর না ব্যাপারটা ?একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে আপনি ভালো থাকতে বলছেন। তিনিও জবাব দিলেন, আচ্ছা। পরক্ষনেই নিজের জবাবটা চিন্তা করে কেমন যেন ভীত হয়ে গেলেন। আদতে কোথায় থাকবে , কেমন থাকবে- কে জানে !


৯৬. এমন একটা সময় আসে যখন তোমার চারপাশ খুব পাথর হয়ে যাবে চেনা মুখ অচেনা হয়ে যাবে সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষ গুলো তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলবে,,!!আর কিছু মানুষ খুব দুঃখ প্রকাশ করবে আর তুমি বুক উচিয়ে দীঘ নিঃশাস ফেলবে তখন তোমার মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যাবে!! এটাই স্বাভাবিক বিপদের সময় কাছের মানুষেরা এমন দূরে চলে যাবে দুরবীণ দিয়ে ও দেখতে পাবে না!! সব কিছু মেনে নাও একটি কোরআনের আয়াত ভেবে যা তোমার প্রভু বলেছেন নিঃশ্চয় কষ্টের পরে স্বতি আছে!!


৯৭. মানুষগুলো একদিন হাওয়া হয়ে যাবে, মানুষগুলো একদিন নাই হয়ে যাবে, মানুষগুলো একদিন ছাই হয়ে যাবে! মানুষগুলো একদিন হবে অমানুষ, অমানুষগুলো সব হয়ে যাবে ফানুস, মানুষগুলো একদিন উড়বে আকাশে, উড়তে উড়তে মাটিতে ডুববে!


৯৮. তোমাকে পেয়েছি। চিনেছি। দেখেছি। তোমাকে পাই নি। চিনি না এখন। দেখিনা বহুদিন। তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবাসি না। একটু ভালোবাসি আর একটু ঘৃণা করি তোমাকে। আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে ! হ্যাঁ অর্ধেক ! সম্পূর্ণ একটা মানুষ কোথায় পাবে বল ? পরিসংখ্যান বলে, প্রত্যেকটা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ভাবে চারটা মানুষ থাকে এবং পরোক্ষ ভাবে ছয় জন।

১। তাকে পাবার আগে তুমি যার ছিলে,

২। তোমাকে পাবার আগে সে যার ছিল।

৩। তুমি যার ছিলে সে এখন যার কাছে আছে

৪। তোমার কাছে আসার আগে মানুষটা যার কাছে ছিল সেই মানুষটা এখন যার কাছে আছে !


আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে ! হ্যাঁ অর্ধেক ! তোমার বাকি অর্ধেকটা যাকে দিয়েছো, আমার বাকি অর্ধেকটা যে পেয়েছে… তাদের দুজনের মনেও কী অর্ধেক না পাওয়ার অশান্তি ?

আমাদের মতই ? সব ছারখার লাগে রাতে ?

হায়রে পিথাগোরসের সূত্র !!

 আমি শালা বেহায়ার মত আজো ভালোবাসি।


৯৯. তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই যে ‘ তুমি আমাকে ভালবাসতে’ আর ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। কাউকে চিরদিনের জন্য ভালো না বাসলে আবার ভালোবাসা যায় নাকি? আমি তোমাকে ভালোবাসি; বাক্যটি চিরন্তন সত্য। পাস্ট না; প্রেজেন্ট ইন্ডেফিনেট টেনস!


১০০. আচ্ছা… মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মানুষ চেনার কোন উপায় কী আছে ? সিগারেটখোর এক টান দিয়ে ধোঁয়া অর্ধেক গলায় রেখেই বলে দিতে পারবে,এটি ড্যাম সিগারেট ছিল। তারা’খোর আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে,এই তারাটি কয়েকশো বছর পর মারা যাবে। দীর্ঘদিন তামাক খেলে সিগারেট চেনা যায়।আকাশের দিকে তাকালে নক্ষত্র চেনা যায়;ত্রিশ বছর মার্বেল আকৃতির দুটি চোখের দিকে তাকাবার পরও মানুষটাকে চেনা যায় না।

©Rakibul Hasan Rahat - 2022